ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫ , ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সবাই মিলে রাষ্ট্র বিনির্মাণের সুযোগ হয়েছে-আলী রীয়াজ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট বদলিতে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলার আবেদন রাস্তায় অভিনেতাকে সিদ্দিককে গণপিটুনি কারিগরি শিক্ষার্থীরা যা শিখছেন, চাকরির বাজারে তার চাহিদা নেই -সিপিডি আগামী নির্বাচনে সীমিত পরিসরে হলেও প্রবাসীদের ভোটের প্রস্তুতি চলছে : সিইসি জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পুলিশকে উজ্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দিতে গড়িমসি অপকর্ম বন্ধ করুন, নইলে বিএনপিকেও জনগণ ছুড়ে মারবে -নেতাকর্মীদের ফখরুল সভ্য হতে হলে প্রত্যক্ষ কর আদায় বাড়াতে হবে : এনবিআর চেয়ারম্যান বইপ্রেমী এক ডিসির গল্প গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চিকিৎসাধীন অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যু গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ দুই বোন ই-৮ ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়ায় গেলেন ২৫ কর্মী পুলিশের জন্য ১৭২ কোটি টাকায় কেনা হবে ২০০ জিপ সামাজিক সুরক্ষায় যুক্ত হচ্ছে আরও ৬ লাখ ২৪ হাজার উপকারভোগী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনে লিপ্ত থাকার অভিযোগ গ্যাস খাতে বছরে আর্থিক ক্ষতি বিলিয়ন ডলার নতুন লুকে নজর কাড়লেন ব্লেক লাইভলি

বিপুলসংখ্যক কারখানা বন্ধে দিশেহারা হাজার হাজার শ্রমিক

  • আপলোড সময় : ১৬-০২-২০২৫ ০১:১৮:১৫ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৬-০২-২০২৫ ০১:১৮:১৫ অপরাহ্ন
বিপুলসংখ্যক কারখানা বন্ধে দিশেহারা হাজার হাজার শ্রমিক
দেশের শিল্পাঞ্চল জেলা হিসেবে খ্যাত গাজীপুরে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিপুলসংখ্যক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। তাতে বেকার হয়ে পড়েছে হাজার হাজার শ্রমিক। কাজ হারিয়ে ওই বেকার শ্রমিকরা পরিবার নিয়ে এখন দিশেহারা। তাদের ঠিকমতো খাবারও জুটছে না। গত বছরের আগস্ট থেকে চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত গাজীপুর ও ঢাকার সাভার-আশুলিয়া শিল্প এলাকায় ছোট-বড় ৯৬টি কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। তার মধ্যে গাজীপুরে বেক্সিমকোর ১৩টিসহ ৫৬টি এবং সাভার-আশুলিয়ায় ৪০টি। ওসব কারখানার ৬১ হাজারের বেশি শ্রমিক-কর্মচারী এখন বেকার। ভুক্তভোগী শ্রমিক, বিজিএমইএ ও কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, গাজীপুর জেলায় বন্ধ কারখানাগুলোর মধ্যে বেক্সিমকোর ১৩টিসহ ২০টি বিজিএমইএভুক্ত। বাকিগুলোর বেশির ভাগই সাব-কন্ট্রাক্টে কাজ পাওয়া ছোট কারখানা। বন্ধ কারখানাগুলোর মধ্যে ৩৩টি কাজ না থাকায়, ২১টি আর্থিক সংকট, একটি গ্যাসসংকট এবং অন্যটি স্থানান্তরের কারণে বন্ধ হয়। বেক্সিমকোর কারখানায়গুলোতে ২৮ হাজার ৫১৩ জন শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করতেন। তাছাড়া বন্ধ অন্য কারখানাগুলোতে কাজ করতেন ১৯ হাজার ৭১২ জন শ্রমিক-কর্মচারী। সব মিলিয়ে শুধু গাজীপুরেই বেকার হয়েছে ৪৮ হাজার ২২৫ জন শ্রমিক। সূত্র জানায়, বর্তমানে সাভার-আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে কাজের সন্ধানে শ্রমিকরা কারখানায় কারখানায় ঘুরছেন। কিন্তু কোথাও চাকরি মিলছে না। খেয়ে না-খেয়ে তাঁরা দিন পার করছেন। আর কারখানা বন্ধ থাকায় স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্য, বাড়িভাড়া সব ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। সাভার-আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে আরএমজি, নন-আরএমজি মিলিয়ে এক হাজার ৮৬৩টি শিল্প-কারখানা রয়েছে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে তৈরি পোশাক শিল্পে মজুরি বৃদ্ধিসহ নানা দাবিতে আন্দোলন, অর্থ সংকট ও কাজ না থাকায় গত ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ৪০টি কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়েছে। ওসব কারখানার মধ্যে ছয়টি বিজিএমইএভুক্ত, তিনটি বিকেএমইএ, চারটি বেপজা এবং অন্যগুলো সাব-কন্ট্রাক্টে পরিচালিত কারখানা। কারখানা বন্ধের কারণে ওই অঞ্চলে বেকার হয়েছেন ১২ হাজার ৮৬১ জন শ্রমিক-কর্মচারী। এদিকে এ প্রসঙ্গে কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের গাজীপুরের সহকারী মহাপরিদর্শক (সাধারণ) মোতালেব মিয়া জানান, গত ৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত গাজীপুরে ৫৬টি কারখানা বন্ধ হয়েছে। তার মধ্যে বেক্সিমকো গ্রুপেরই ১৩টি। কেয়া গ্রুপের চারটি কারখানা লে-অফ ঘোষণা করা হলেও সেগুলো পুনরায় চালু হয়েছে। গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরের আইরিশ নিট ও আইরিশ ফেব্রিক্স বেআইনিভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। ওই প্রতিষ্ঠান দুটিও চালু হয়েছে। ওই দুই কারখানায় পাঁচ-ছয় হাজার শ্রমিক কাজ করেন। কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর কারখানা বন্ধের সঠিক কারণ নির্ণয় এবং কারখানা চালু করতে করণীয় ইত্যাদি বিষয়ে কাজ করছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ